মোঃ নূরুল আমিন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪নং পশ্চিম সুবিদপুর ইউনিয়নের আইটপাড়া গ্রামে ১০ জুন ১৯৬১ খ্রি. তারিখে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স ডিগ্রী লাভের পর ১৯৮৪ সালে প্রতিযোগিতামূলক বিসিএস পরীক্ষায় পাস করে প্রশাসন ক্যাডারে ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি যোগদান করেন। 

 

তিনি সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে প্রথম দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা কালেক্টরেটে। ২ বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় সহকারী কমিশনার হিসেবে বদলি হন। সেখানে ২ বছর দায়িত্ব পালনের পর মাদারিপুরের রাজৈর উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি হন। সেখানে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা পদে ঝালকাঠি কালেক্টরেটে বদলি হন। সাড়ে ৩ বছর সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে মুন্সিগঞ্জ এর লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে দায়িত্ব পান। ৩ বছর দায়িত্ব পালন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে বদলি হন লক্ষিপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায়। 

 

এরপর তিনি মানিকগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে জেলা পরিষদ, সচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তিনি ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান। এই দায়িত্ব ৩ বছর পালনের পর উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। উক্ত দায়িত্বের ২ বছর পর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেখানে দেড় বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯ সালে  জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, নেত্রকোনা হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। উল্লেখ্য তিনি ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পদক  গ্রহণ করেন। দেড় বছর পর যশোরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি হন। প্রায় ২ বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। সেখানে ৮ মাস দায়িত্ব পালনের পর বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব পান। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্ম সম্পাদন শেষে ২ বছর পর অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়ক ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ২০১৪ সালের মার্চে দায়িত্ব লাভ করেন। অত:পর তিনি ২০১৮ সালের মার্চ মাসে সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের  সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি বদলি হয়ে সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেন এবং একই মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সচিব হন। দীর্ঘ কর্মজীবন শেষ করে ২০২০ সালের জুন মাসে অবসর গ্রহণ করেন। 

 

অনবদ্য প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য সরকার তাঁকে আবার ২০২২ সালের মে মাসে কর্মসংস্থান ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করেন, সর্বশেষ তিনি ২০২৩ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন এর ‘চেয়ারম্যান’ (সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির পদমর্যাদা সম্পন্ন) পদে নিয়োগ লাভ করে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও রাষ্ট্রীয় কাজে তিনি আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, নেদারল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিজি, থাইল্যান্ড, চীন, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, ভারত, নেপাল ও ভূটান  সফর করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক।